সদ্য সংবাদ ডেস্কঃ
নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় রয়েছে সরকার নির্ধারিত ২টি বালু মহাল। চর রমজান সোনাউল্লাহ-৬ ও আনন্দ বাজার বালু মহাল।
প্রতি বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন উক্ত বালু মহাল গুলি বৈশাখ মাস হইতে চৈত্র মাস পর্যন্ত একসনা ইজারা দিয়ে থাকেন। বাংলা ১৪২৫ সালে আনন্দ বাজার বালু মহাল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ও ১৪২৬ সালে ৮০ লক্ষ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে চররমজান সোনাউল্লাহ-৬ বালু মহালের কোন ইজারাদার পাওয়া যায়নি।
করোনার কারনে চলতি বছর ১৪২৭ বাংলা সালে কোন ইজারাদার দরপত্রে অংশ গ্রহণও করেনি। তাই প্রশাসন থেকে কাউকে নতুন করে ইজারাও দেওয়া হয়নি।এমতাবস্থায় ইজারা না থাকার সুযোগে,বর্তমানে আনন্দ বাজার বালু মহালে দিনে রাতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বসবাসকারী স্থানীয় জনগন আছেন আতংকে,কখন ভিটেমাটি নদীর গহ্বরে চলে যায়। এই বিষয়ে গ্রামেবাসী খুবই উত্তেজিত। এবং ক্রমেই এলাকা উত্তপ্ত হচ্ছে। যে কোন সময় আবারও হতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
উল্লেখ্য যে,আনন্দ বাজার বালু মহালে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে ইতিপূর্বে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গত ডিসেম্বরে (২০১৯) জাকির হোসেন নামে একজন খুন হয়।
সরেজমিনে আজ ২৯ জানুয়ারি দেখা যায়, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আমান গ্রুপের সামনে মেঘনার আলো ড্রেজার, মদিনার আলো ড্রেজার, নবীজির দয়া, এম এম সাহা সহ প্রায় ৮/৯ টি ড্রেজার দিয়ে বসত এলাকার সামান্যতম দূরত্বে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে একদল বালুসন্ত্রাসী । জানা যায় যুবলীগ নেতা নামধারী রুবায়েত হোসেন শান্তর নেতৃত্বে আল আমিন,আমির,রনি,জনি,মানিক সহ একটি সিন্ডিকেট দিনে রাতে চব্বিশ ঘণ্টা উল্লেখিত বালুমহাল থেকে বালু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃরব ডাক্তার জানান,আমি বারবার প্রশাসনকে জানানোর পরেও প্রশাসন উক্ত বালু উত্তোলন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন ১৫০ হইতে ২০০ টি ভাল্কহেডের মাধ্যমে এখান থেকে বালু অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যুরা,রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।আর নদী গহ্বরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভিটে সহ শতশত বসতবাড়ি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিষয়টি অবগত নই। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই। স্থল ও নৌ-পুলিশকে নির্দেশ দেয়া আছে। অভিযান পরিচালনা করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এসএস/বি
No comments:
Post a Comment