মোঃ মিঠু আহমেদঃ
শ্রমিক দিবস এলেই আমরা তাদের প্রতি সদয় হয়ে পড়ি। কিন্তু বছরের বাকি দিনগুলোতে শ্রমিকের পুরো শ্রম শুষে নিতে পারলেই যেনো শান্তি!
সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, ডিলার পয়েন্ট,মোবাইল ব্যাংকিং সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন হাজার হাজার শ্রমিক।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায় এরা,কিন্তু মাস শেষ হলেই বেতন বোনাসের জন্য মালিক বা কতৃপক্ষের পেছনে ঘুরতে ঘুরতেই যেন চলে যায় আরো কয়েকটি মাস।
এক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়,আমাদের অফিসে ঢুকতে একটু লেট হলেই শুনতে হয় নানান ধরনের বাজে কথা,দীর্ঘদিন ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কারনে অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা না ভাবলেও প্রতিনিয়ত শুনতে হয় চাকুরী হারানোর ভয়ের কথা।আমাদের প্রাপ্যটা আমরা সঠিক সময়ে পাইনা বলে কখনো বাড়ীওয়ালা চিল্লাচিল্লি, কখনো মূদি দোকানদারের খারাপ ব্যবহার আবার কখনো অসুস্থ বাবা মা বা সন্তানের জন্য কেনা হয়না ঔষধ পর্যন্ত।
এখানে যারা কাজ করে করেন তারা বেশিরভাগই উত্তরাঞ্চল থেকে আসা,আবার কেউ কেউ স্থানীয় বাসিন্দা।
নিজেদের মধ্যে খুব একটা বিরোধ নেই কাজ নিয়ে। সুশৃঙ্খলভাবে যে যার সামর্থ অনুযায়ী কাজ করেন।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে যাওয়া এ শ্রমিকদের ‘মে দিবস’ নিয়ে নেই কোনো মাথাব্যথা। তারা শুধু বোঝেন, কাজ করছেন বলে দু’বেলা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারছেন।
একদিক দিয়ে এটি ঠিকও। এসব তাদের বোঝার কথা নয়। কিন্তু তারা যেহেতু শ্রমিক, সেহেতু শ্রম আইনের অন্যতম প্রধান দাবিদার তারাও। তাই রাষ্ট্রসহ যেসব সংগঠন শ্রম-শ্রমিকের মূল্য, অধিকার নিয়ে কাজ করে- তাদের কাছে তাদের এই ‘না বোঝা’ যেনো প্রশ্ন আকারে হাজির হয়!
No comments:
Post a Comment