সদ্য সংবাদ ডেস্কঃ
"আমি যুদি মইরা যাই আমারে মাফ কইরা দিও, ইমনরে আমার লাশটা দেখতে দিও,সুইসাইড নোটে সুবর্ণা।"
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া সুবর্ণা আক্তার নামে এক ছাত্রী কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী সুবর্ণা আক্তারের সাথে গত তিন বছর ধরে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছে যুবক ইমনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইমন (২১) সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
এদিকে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পরও ইমন বিয়ে না করায় ওই ছাত্রী সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে কিটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে।
মৃত্যুর আগে সুবর্ণা আক্তার প্রেমিক ইমনকে দায়ি করে একটি চিরকুট লিখে যায়।
নিহত ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার,কাইকারটেক নবাব হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে পরিবারের সাথে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মঙ্গল হোসেনের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,পাঁচ বছর ধরে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সময় ইমন বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে গত তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার বুঝতে পারলে তার বাবা-মা ইমনের বাবা মাকে বিষয়টি একাধিকবার জানালেও তারা উল্টো ছাত্রীর বাবা মাকে গালমন্দ করে, এবং ছেলে পক্ষের পরিবার মেয়ের সাথে বিয়ে না দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটির সমাধান করার চেষ্টা করেন। তবে মেয়ের পরিবারে এতে রাজি হয়নি।
এদিকে স্কুল ছাত্রী সুবর্ণা আক্তারের আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে ইমনের বাড়িতে গেলে দেখা যায় ইমন ও তার পরিবারের লোকজন ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে, সোনারগাঁ থানার অফিসার্স ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন,লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এসএস/বি
No comments:
Post a Comment