সদ্য সংবাদ ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদি ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বারদি বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত গড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বারদি মারকাজ মসজিদের পাশে একটি সরকারী পুকুরে মাছ চাষ করে মসজিদের আয় ও ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সম্প্রতি জাাকির সরকারের পক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলের ভাই আমিনুল ইসলাম,তার সঙ্গীয় মাসুদুর রহমান ও মামুন নামের আরো দুইজন ওই পুকুর লিজ নিতে উঠে পড়ে লাগে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিলো।
বুধবার সকালে বারদি বাজারে মুজিবুর ও হাসান নামের দুই ব্যক্তির মধ্যে বারদি মারকাজ মসজিদের পাশে একটি সরকারী পুকুরের লিজ ও গত নির্বাচন নিয়ে তর্ক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে মুজিবুর পক্ষের লোকজন হাসানকে মারধর করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসানের ঘনিষ্ট জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবু ঘটনাস্থলে এসে জানতে চাইলে উত্তেজিত উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র,লোহার রড,টেঁটা,রামদা,লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও তাদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় জাকির সরকার,জামাল,সামসুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর বারদি বাজারে উভয়পক্ষ দফায় দফায় একে অপরের দোকান ভাংচুর লুটপাট চালায়।
জাকির সরকার ও ইব্রাহিম ইবুর অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা নাজমুল হককে নির্বাচনে প্রভাবিত করে নির্বাচিত করে। তারপর থেকে বারদি বাজারে আমাদের লোকজনকে কোনঠাষা করে রাখে। এই ক্ষোভ থেকেই সংঘর্ষ হয়,সংঘর্ষে আমাদের দোকানপাট,বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে, এবং আমাদের ১৫জন আহত হয়।
বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক জানান,মারকাজ মসজিদ পুকুরের লিজ নিয়ে
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে,ইবু নিজেই তার ঘরে আগুন দিয়ে নাজমুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান,সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এসএস/বি
No comments:
Post a Comment