নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এসে অবৈধভাবে ড্রেজিং করার সময় কুমিল্লার দুটি ড্রেজার ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন চর লক্ষ্মীপুর ও মধ্যার, ময়নাবাদ,খাকান্দা, এলাকাবাসী। শনিবার ভোরে ছয়টার দিকে নদীর মাঝখানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কুমিল্লার মেঘনা থানার চারিভাঙ্গা ইউনিয়ননের মো: লতিফ চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যার চরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে চর লক্ষ্মীপুরে জোরপূর্বক ২০ থেকে ২৫ টি ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে। বালি মহল চালিয়ে যাচ্ছে এতে চরলক্ষী পুর ও আশেপাশে চরে ভাঙ্গন দেখা দেয়। একাধিকবার প্রতিবাদ করেও তাদের ড্রেজার সরানো যায়নি।
প্রতিদিনের মতো ১৮জুলাই ২০২০ ইং শনিবার ভোর ছয়টার দিকে মধ্যারচরের চর লক্ষ্মীপুর এর সাথে ও কুমিল্লার কিছু অংশের কাছে ড্রেজার বসিয়ে ড্রেজিং করা শুরু করে।
এ সময় বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ড্রেজারে হামলা চালায়।
ওই সময় ড্রেজারে থাকা লোকজন আতঙ্কে পালিয়ে যায়। তখন এলাকাবাসী ড্রেজার দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে একটি ড্রেজার ডুবে যায় দুইটি পুড়ে যায়।
কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোফাজ্জল করিম জানান,
আমি যতটুকু জানি যেই বালি কাটার এলাকা টুকু আড়াইহাজারের মধ্যে পড়েনি তাই বিষয়টি তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
আমরা আমাদের নিজ চোখে দেখা বিস্তারিত নৌ পুলিশ কে জানাবো।
এবং এ বিষয়টি পরে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট দেখে নৌ পুলিশ এর ব্যবস্থা নিবেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়ার পায়তারা হচ্ছে তবে সেটি কতটুকু সত্য আমি নিশ্চিত নই। লতিফ চেয়ারম্যান যদি মামলা করে তখন জানতে পারবো। আমরা খবর পেয়ে কিছুটা পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছি পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
বাকিটা ড্রেজারের মালিকের কাছ থেকে জানতে পারবেন।
মোবাইল ফোনে ড্রেজারের মালিক চারিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লতিফ জানান,
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে মেঘনা থানার মেঘনা নদীর প্রেমের চর ও সাপমারাচরে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় আমরা ইজারা নিয়েছি।
আড়াইহাজারে ঢুকে বালি কাটার প্রশ্নই উঠে না।
তিনি জানান, কালাপাহাড়িয়া যুবলীগ নেতা সাত্তার সরকার আমার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন।টাকা না দেওয়াতে আমার মহলে এসে রিয়াদ সুপার ও চাঁদের আলো নামে দুটি ড্রেজারে অগ্নিসংযোগ করে। আমি এর বিচার দাবী করি।ড্রেজার দুইটি ছিলো আমাদের সীমানায়।
এ সময় কালাপাহাড়িয়ার কয়েক শ’লোকজন স্থা ড্রেজার দুটি তাদের মধ্যার চরের কাছে নিয়ে যায়। এরপর হামলা করে একটি ডুবিয়ে দেয়, আরেকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে মামলা করবো।
এই বিষয়ে সাত্তার সরকার জানান,
চেয়ারম্যান সাহেবের এমন বক্তব্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এটি সম্পূর্ণ বানানো, বানোয়াট মিথ্যা খবর, কারণ আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।আমার উপর মিথ্যে দোষ চাপানো হচ্ছে।
চাঁদা চাওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এলাকার জনগণ দেখেছে এবং প্রশাসন দেখেছে, এটি জনগণের একটি প্রতিবাদ বলে মনে করি।
আড়াইহাজারে ঢুকে কুমিল্লার কোন অসৎ ব্যক্তি বালি কেটে আমার প্রিয় জন্মভূমি কালাপাহাড়িয়া ধ্বংস করবে। একটি অংশ কেটে নিয়ে যাবে এটি জনগণ কখনোই করতে দিবে না তারই এটা প্রমাণ।
কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন এর বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব সাইফুল ইসলাম স্বপন,জানান,
আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু এমপি সাহেব সব সময় বালুর মহলের বিরোধিতা করছেন এবং অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান করছেন। তাই কোন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর দ্বারা কালাপাহাড়িয়ার কোন অংশে কোন ক্ষতি হবে সেটি এলাকাবাসী ও এমপি নজরুল ইসলাম বাবু কখনোই এটি হতে দিবেন না।
No comments:
Post a Comment