সোনারগাঁও উপজেলার ৪৭ নং ঈমানেরকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ অতি বর্ষনের কারণে বিশাল আকার গর্তের সৃষ্টি হয়। যা ঝুকির সম্মুখীন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী মোশারফ হোসেন মিলন গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন বৃষ্টির পানিতে বিদ্যালয়ের মাঠের কয়েক জায়গার মাটি সরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্কুলটির ভবন একটু ঝুঁকির সম্মুখীন। যেকোন সময় ভবনটি দেবে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি গ্রামের বাচ্চাদের খেলাধুলারও ব্যাঘাত ঘটছে।
তাই তিনি ঢাকায় নিজের সকল কর্ম ফেলে নিজ এলাকায় চলে আসেন।
গ্রামের ছোট বড় সকলের জন্য এই একটি মাঠ ,বিষয়টি জরুরী ভাবে সমাধানের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এসএমসির সদস্য, গ্রামের যুব সমাজ এবং গন্যমান্য মুরুব্বীদের সাথে পরামর্শ করে
দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইডে প্যারাসিটিং বসিয়ে গর্তগুলোতে মাটি ভরাটের মাধ্যমে কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রান, ও শিক্ষানুরাগী, মোশারফ হোসেন মিলন, এসএমসির সদস্য ও সকলকে নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সার্বিক মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতিপূর্বে তিনি নিজ উদ্যোগে স্কুলের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে খাতা ডায়েরী ও স্কুল ড্রেস বিতরন করেছেন। বিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টি সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসেন।
করোনা কালীল সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সকল ছাত্রছাত্রীও অভিভাবকদের একটি ডাটাবেইজ তৈরী করে তাদের পড়াশুনার বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে নিয়মিতভাবে মতবিনিময় করেন।
এ ছাড়াও বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ে একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য নিয়মিত বেতন ভাতা দিয়ে আসছেন।
তিনি সকলের সহযোগীতায়, ঈমানের কান্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিণত করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবং স্কুলের উন্নয়নে সকলের সৎ পরামর্শ ও সহযোগিতা আশা করেন।
No comments:
Post a Comment