নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের এশিয়া হাইওয়ের বস্তল এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের তিন ভূয়া কর্মকতা ও তাদের ব্যবহৃত গাড়ির চালক সহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনায় জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এ্যাম্পেয়ার স্টীল মিল কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ডের নিকট নিজেদের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মিলের ভিতরে প্রবেশ করে কোম্পানির মালিক আবুল কালামের মোবাইল নাম্বার চয়। নাম্বার না পেয়ে কোম্পানির কেয়ারটেকার গোলজার প্রধানের সাথে যোগাযোগ করে জানান তারা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এসেছে। এসময় তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র দেখতে চায়। তাছাড়া বিষয়টি মীমাংসার জন্য ৫ লাখ টাকাও চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে লেবারদেরকে কোম্পানির কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে রশি দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকে। সন্দেহ হলে কোম্পানির লোকজন পালিয়ে গিয়ে উপজেলার তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ- অঞ্চল) মোঃ বিল্লাল হোসেন ও তালতলা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূয়া কর্মকর্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ( ঢাকা মেট্রো- ১১-৭৫৪৬) ও গাড়ি থেকে এক ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে এ্যাম্পেয়ার স্টীল কোম্পানির কর্মচারী আলী আকবর বাদী হয়ে একটি মামলা ও পুলিশের পক্ষ থেকে আরেকটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের জমিরউদ্দীন মন্ডলের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মানিক,নাটোর জেলার নালপুর উপজেলার গন্ডবিল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাইফুল ইসলাম সেন্টু, রাজধানীর ডেমরার রামৈল গ্রামের জমির আলীর ছেলে কামরুজ্জামান ও ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার জাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে ড্রাইভার মোঃ সরাফ মিয়া।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা দায়ের করে বুধবার দুপুরে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোম্পানিতে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবী ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়েরের পর তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসএস/বি
No comments:
Post a Comment