সোনারগাঁ সময়ঃ
প্রতিবছর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটি শোকের সাথে পালন করা হয়। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট তারিখে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিবসটি জাতীয়ভাবে সর্বোপরি পালন করা হয়।
১৩ আগষ্ট শুক্রবার বিকালে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন এলাকার কাচারি মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ মোঃ সোহাগ রনির উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান আলোচক হিসেবে সোহাগ রনি তার বক্তব্যে বলেন,
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য নির্মম ভাবে হত্যা করে ৷ সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল,শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল,পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল সহ ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগিনা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি ৷ বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে সেদিন ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন ৷
দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা ৷
প্রতি বছরের ন্যায় ১৫ আগষ্টকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতেই খাবার বিতরন করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেনঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহালম, সাবেক মেম্বার শাহ জামাল তোতা, থানা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি কালাম,যুবলীগ নেতা কামাল প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment