১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামি লীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বে বহু রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হয়েছে। কোন হত্যাকান্ডে অবুঝ শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলো না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবমানবিক হত্যাকান্ড। খুনিরা সেদিন শিশু রাসেলকে পর্যন্ত রক্ষা করেনি। রক্ষা করেনি যুব লীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে।
ঘাতকরা বুঝতে পেরেছিলো জাতির পিতার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য বাঙালিদের অতি আপনজন ছিলেন । বাংলাদেশকে মিনিপাকিস্থান বানানোর জন্য তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা সেদিন শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, খুনিরা বাংলাদেশের আত্মাকে হত্যা করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশকে পাকিস্তানপন্থার দিকে ঠেলে দেয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বর ।
‘আমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেই পাকিস্তানিদের হাতে বঙ্গবন্ধু মারা যাননি, তিনি মারা গেলেন আমাদের বাঙালিদের হাতে। কত বড় অকৃতজ্ঞ আমরা! আমরা জাতির পিতাকে নিজেরাই হত্যা করেছি। এটা একটা করুণ ইতিহাস।’
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন । ২৪ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তারপর তিনি আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি ছিলেন সারা বিশ্বের নেতা।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এ এইচ এম মাসুদ দুলাল বলেন, যতদিন বাঙালি জাতি আছে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি বাঙালীর চেতনার প্রতীক। তার মৃত্যু নেই।
No comments:
Post a Comment