সদ্য সংবাদ ডেস্কঃ
আজ ২৮ অক্টোবর, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁ উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক আবু সিদ্দিক মোল্লা ভোর ৫ ঘটিকার সময় ইন্ডিয়াতে ইন্তেকাল করিয়াছেন।
( ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন )
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।
আবু সিদ্দিক মোল্লা ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত রেখে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন।
তিনি মূলত সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন, কিন্তু এই রাজনীতি করতে করতে নিজের জীবনকে নিঃশেষ করে ফেলেছেন।
রাজনীতি করে কিছুই পাননি বরং পেয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বারবার কারানির্যাতিত ও পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার। খেয়েছেন ১০টি মামলা।
আর অন্যদিকে সোনারগাঁও আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম তার নিজস্ব নেতাকর্মীদের তেমন কোনো খোঁজখবর রাখেন না বলেই জানা যায়। তাই তারা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন এবং আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে মানবতর জীবনযাপন করছেন। এদেরই একজন ছিলেন সোনারগাঁও তথা নারায়ণগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় একজন নেতা আবু সিদ্দিক মোল্লা। তার আত্মীয় স্বজনরা জানান আমার ভাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য নিজের জীবনটা শেষ করেছেন কিন্তু বিনিময় কিছুই পাননি। ইচ্ছে করলে সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম আমার ভাইকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারতেন কিন্তু উনি তার কোন কিছুই করেননি।
তার উচিত ছিল নিজস্ব নেতাকর্মীদের দুর্দিনে অর্থ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা। মুলত ওনি সবাইকে এড়িয়ে চলতেন এই সমস্ত কারণেই নিজস্ব নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোন রিসিভ করেন না সাবেক মন্ত্রী। সে তার নিজস্ব গাড়ির ড্রাইভার কালামকে দিয়ে নেতাকর্মীদের ফোন রিসিভ করান। এতেকরে সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা অপমানিত বোধ করেন।
নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁ উপজেলার নেতাকর্মীরা বলেন রাজনৈতিক অঙ্গনের এক সাহসী যোদ্ধার অকাল মৃত্যু হল।
তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিয়ে তাকে যেন আল্লাহ জান্নাত নসিব করেন।
তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবু সিদ্দিক মোল্লার একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ আবু সায়মন তার বাবার পক্ষ থেকে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন তার বাবার মরদেহ বর্তমানে ইন্ডিয়াতে আছেন সেখান থেকে আনার পরে পরবর্তীতে জানাজার নামাজের সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
এসএস/বি
No comments:
Post a Comment