বন্দরে মাঠে গরু রাখায় ব্যবসায়ীর কাছে ভূমিদস্যূ সফুরউদ্দিনের চাঁদাদাবি, - সদ্য সংবাদ
আজ বঙ্গাব্দ,

শিরোনাম

Wednesday, July 14, 2021

বন্দরে মাঠে গরু রাখায় ব্যবসায়ীর কাছে ভূমিদস্যূ সফুরউদ্দিনের চাঁদাদাবি,

 


সোনারগাঁ সময়ঃ
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে দাবিকৃত চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় পরিত্যক্ত প্রস্তাবিত এক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীর খালি বালু ভরাট মাঠে ৩৫ টি কোরবানীর গরু সরিয়ে নিতে বাধ্য করে জেলে সফুরউদ্দিন সইপ্পা নামে এক ভূমিদস্যু। ওই কোম্পানীর মাঠ থেকে কোরবানীর গরু সরিয়ে দেয়ায় গ্রামবাসীর কাছে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান মোল্লা’র বিরুদ্ধে থানায় কাল্পনিক মিথ্যা জিডি করে সফুরউদ্দিন সইপ্পা। সোমবার (১১) সকালে কামতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সফুরউদ্দিন সইপ্পা’র এমন কর্মকান্ডে কামতাল, মালিভিটা গ্রামবাসীসহ জনমনে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের কৃষক ফজলুল হক প্রধানের ছেলে সাখওয়াতউল্লাহ, পুলিশ ইন্সপেক্টর মোজাফ্ফর হোসেনের পিতা আলাউদ্দিন প্রধান, মোহাম্মদ আলী মোল্লা’র ছেলে নূরুজ্জামান মোল্লা, ছামসুদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন, মৃত জিন্নত আলীর ছেলে সৌদিয়া প্রবাসী তাওলাদ হোসেন ও মালিভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলামসহ তারা ৬ পরিবার মিলে নিজেদের খামারের গরুসহ কোরবানী হাটে বিক্রি করতে আরো ক্রয়কৃত ৩৫টি গরুর মধ্যে ১২টি গরু স্থানীয় টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরিত্যক্ত বালু ভরাট মাঠে রাখা হয়। এতে ওই গার্মেন্টের দালাল সফুরউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জোর পূর্বক গরু সরিয়ে দেয়।

ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান মোল্লা জানান, কোরবানীর হাটে বিক্রি করার জন্য ১২টি গরু রাখাতে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবউদ্দিন ভাইকে ফোন করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেনি বিদায় কোম্পানীর ব্যবস্থাপক কবিরুল ইসলামকে বলা হয় ভাই ফোন রিসিভ করছেন না। আপনাদের পরিত্যক্ত বালু মাঠে গরু রাখতে অনুমতির প্রয়োজন। তখন তিনি এমডি স্যারের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি দেয়ার পর ওই মাঠে গরু রাখা হয়।

পরদিন সকালে মালিভিটা গ্রামের মৃত শংসর আলী চৌকিদারের ছেলে সফুরউদ্দিন অপর অংশিধারি ব্যবসায়ী সাখওয়াতউল্লাহর কাছে মাঠ ভাড়া অজুহাতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে আমরা ব্যবসায়ী চাঁদা দিয়ে গরু রাখা সম্ভব না বলে সফুরউদ্দিনকে জানিয়ে দেয়। এর পর থেকে কোম্পানীর পক্ষ থেকে মাঠে গরু রাখা যাবে না বলে জানিয়েছেন কবিরুল ইসলাম। পরে ওই মাঠ থেকে গরু সরিয়ে নেওয়ার সময় কালে সফুরউদ্দিন তার কিশোর গ্যাং গ্রুপের লোকজন দিয়ে মাঠে মহড়া দেয়। সফুরউদ্দিন সইপ্পার অপরাধ কর্মকান্ডে গ্রামবাসীর নজরে পড়ে। তার অপরাধ ধামাচাপা দিতে উল্টো সফুরউদ্দিন সইপ্পাকে মোবাইল ফোনে মসজিদের সামনে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে এনে ব্যবসায়ী নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা জিডি করে বন্দর থানায় । সইপ্পা যে মোবাইল নাম্বার জিডিতে উল্লেখ করেছেন। ওই ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন সরদারের।

স্থানীয় আওয়ামলীগ নেতা বিল্লাল সরদার বলেন, নূরুজ্জামান আমার মোবাইল নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলেনি। মাঠে রাখা গরু অন্যত্রে সরিয়ে নিতে দেখা আমি নিজেই সইপ্পাকে ফোন দিয়েছিলাম। সইপ্পার সব বানোয়াট সাজানো ঘটনা । নূরুজ্জামান হুমকি দিয়েছে পুলিশ তদন্ত করলে সইপ্পা তা প্রমান করতে পারবে না । সইপ্পার অপকর্মের বিরুদ্ধে হক কথা বললেই যে কেউ হউক না কেন মিথ্যা অভিযোগ ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশী হয়রানী নতুন বিষয় না। এর আগে ৫০ হাজার হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ী নূরুজ্জামানের নিজ বাড়ির বালু ভরাট কাজ বন্ধ করতে চেয়েছে চিড়ইপাড়া কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান শামীম। এ ঘটনায় নূরুজ্জামান বাদি হয়ে শামীম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করে থানায়।

পুলিশ ইন্সপেক্টর মোজাফ্ফর হোসেনের বাবা আলাউদ্দিন প্রধান বলেন, গরুর ব্যবসা সহ্য করতে না পেরে সইপ্পা প্রতিহিংসায় অর্থ আদায়ের পায়তারা করে। এতে আমরা রাজি না হওয়ায় নিজেকে বাচাতে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি করে সইপ্পা। এখন ব্যবসার কাজে সবাই ব্যস্থ।  ঈদের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সফুরউদ্দিন সইপ্পা’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি গরু কিনতে হাটে এসেছি। এখন কিছুই বলতে পারবো না, বলে লাইন কেটে দেয়। পরে বারবার চেষ্টা করলেও মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।

কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো.সুজন হক বলেন, সাংবাদিক নূরুজ্জামান ফোন করে গরু ব্যবসার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এবং চুরি ডাকাতির আশঙ্কা করছিলেন। ভয় পাওয়ার কিছুই নেই বলেছিলাম, সরকারি নিদের্শে কোরবানী গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ সর্বক্ষন প্রস্তুত।

No comments:

Post a Comment