ঘাদানিক'র উদ্যোগে সোনারগাঁওয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত। - সদ্য সংবাদ
আজ বঙ্গাব্দ,

শিরোনাম

Monday, December 14, 2020

ঘাদানিক'র উদ্যোগে সোনারগাঁওয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত।

 

 সদ্য সংবাদ ডেস্কঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে।
(১৪ ডিসেম্বর ২০২০) সোমবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সোনারগাঁও উপজেলা শাখার উদ্যোগে সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ এলাকায় বিজয় স্তম্ভে আলোর প্রজ্বলন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে।


সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, খন্দকার তবিদুর রহমান (ওসি তদন্ত),
উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম ইমাম, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান সরকার রিপন, সোনারগাঁও উদীচি শিল্প গোষ্ঠীর সভাপতি শংকর প্রকাশ সহ উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দু'দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় দেড়শ বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার মানুষকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও হাত পেছনে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনে দেহ ক্ষতবিক্ষত।

বাঙালি জাতির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামে এসব বুদ্ধিজীবী নিজেদের মেধা, মনন ও লেখনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। দেখিয়েছেন মুক্তির পথ। গোটা জাতিকেও উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।

১৪ ডিসেম্বরকে বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞের দিন হিসেবে স্মরণ করা হলেও মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকেই ইতিহাসের এ ঘৃণ্যতম অপকর্মের সূচনা হয়। সপ্তাহজুড়ে পাকিস্তানী এদেশীয় প্রেতআত্মাদের করা নামের তালিকায় একে একে উঠে আসে অসংখ্য বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী মানুষের নাম। পরে এসব বুদ্ধিজীবীর তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র ক্যাডার গ্রুপ কুখ্যাত আলবদর ও আলশামস্ বাহিনীর হাতে। নেপথ্যে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা রাও ফরমান আলী।
মূলত ১০ ডিসেম্বর থেকেই রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা শুরু হয়। আর এ অপকর্মের চূড়ান্ত নীলনকশারই বাস্তবায়ন ঘটে ১৪ ডিসেম্বর। তার পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর দেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।


এসএস/বি


No comments:

Post a Comment