সোনারগাঁয়ে বাবা ও ভাই মিলে বোনের ৩২ ভরি স্বর্ণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ - সদ্য সংবাদ
আজ বঙ্গাব্দ,

শিরোনাম

Wednesday, June 16, 2021

সোনারগাঁয়ে বাবা ও ভাই মিলে বোনের ৩২ ভরি স্বর্ণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ

 



সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে বাবা ও দুই ভাই মিলে বোন ও ভাগ্নির ৩২ ভরি স্বর্ণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মোছা. শিউলী আক্তার (৩৫) সোনারগাঁ থানায় তার জন্মদাতা বাবাকে প্রধান আসামী করে এই অভিযোগটি করেন।  

মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেলে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের প্রবাসী আব্দুল বাতেন দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সৌদি আরবে প্রবাসে কাজ করে পরিবারের সঞ্চয় হিসেবে পরিবারের বড় মেয়ে ও তার স্ত্রী মোছা. শিউলি আক্তারের জন্য ৩২ ভরি স্বর্ণ পাঠিয়েছেন। সেই স্বর্ণ শিউলির বাবা বৈদ্যেরবাজার ইউপির সাতভাইয়াপাড়ার মৃত ইসুন আলীর ছেলে আলেক চান উরফে ফালাইন্না, তার স্ত্রী রমিজা বেগম (৫৫), দুই ছেলে মাহফুজুর রহমান (৪০) ও মাসুম সহ মাহফুজের স্ত্রী ঝরনা বেগম (৩৫) চোরের হাত থেকে রক্ষা করার কথা বলে ৩ বছর যাবত ৩২ ভরি স্বর্ণ আটকে রাখেন। 


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিউলির বাবা বৈদ্যেরবাজার ইউপির সাতভাইয়াপাড়ার মৃত ইসুন আলীর ছেলে আলেক চান উরফে ফালাইন্না মেয়ের জামাইয়ের শেষ সম্বল স্বর্ন বিক্রি করে বিভিন্ন ব্যবসায় কাজে লাগিয়েছেন। পরবর্তীতে স্বর্ণ ফেরত চাইলে তার দুই ছেলে মাহফুজ, মাসুম, মাহফুজের স্ত্রী ঝরনা ও শিউলীর মা রমিজা বেগম মেয়ের পরিবারকে হুমকি দিতে থাকেন। নিজের সংসার বাঁচাতে শিউলী বেগম ও তার স্বামী বৈদ্যেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ড. আঃ রউফ সহ বিভিন্ন মহলে ৩২ ভরি স্বর্ণ আত্মসাতের কোন বিচার না পেয়ে আইনের ধারস্থ হয়েছেন বলে জানা যায়। 


এদিকে শিউলী আক্তার জানান, আমার বাবা-মা ও ভাইয়েরা লোভী প্রকৃতির মানুষ। তারা আমার স্বামীর জমানো স্বর্ণ গুলো আমাকে চুরির হাত থেকে বাচানোর কথা বলে নিয়ে এখন অস্বীকার করছে। এলাকার স্থানীয় লোকজনের সামনে সালিশে স্ট্যাম্পে সই দিয়ে কয়েক বার স্বর্ণ ফিরিয়ের দেয়ার কথা বলেও পরে আর স্বর্ণ ফিরিয়ে দেন নাই। এখন আমাদের পরিবারের উপর প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে যেন আমরা এই স্বর্ণ না চাই। 


সোনারগাঁ থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার জানান, ৩২ ভরি স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। দুপক্ষ কে ডাকানো হয়েছে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments:

Post a Comment