নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে পোষ্টার ছিড়াকে কেদ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় থানা ও আদালতে একাধীক পাল্টিপাল্টি মামলা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোর রাতে কাইনালীভিটা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক বেসরকারি টেলিভিশন সাংবাদিকের বাড়ী সহ ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামালায় দুই প্রার্থী আসামি হলেও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আক্তার মোল্লা ও তার সমর্থকরা হোসাইন মুন্সীসহ তার তালা প্রতীকে সমর্থকদের গ্রাম ছাড়া করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনের গিয়ে জানাগেছে, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে বর্তমান ইউপি সদস্য হোসেন মুন্সী ও আক্তার মোল্লা দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ২৭ অক্টোর প্রতীক বরাদ্দে আক্তার মোল্লা পেয়েছেন ফুটবল ও হোসেন মুন্সী পেয়েছে তালা প্রতীক।
প্রতীক পাওয়ার পর গত ২৯ রাত ১০ টার দিকে বর্তমান মেম্বার কারী হোসাইন মুন্সীর সমর্থকরা পূর্ব কাইনালীভিটা এলাকায় পোষ্টার টানাতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বি ফুটবল প্রতীক প্রার্থী আক্তার মোল্লা’র সমর্থকরা পোষ্টার টানাতে বাঁধা প্রদান করে।
এসময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায় আক্তার মোল্লা’র সন্ত্রাসী বাহিনী খবর পেয়ে হোসাইন মুন্সীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় হোসাইন মুন্সির সমর্থকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আক্তার মোল্লা’র বাহিনী ফিল্মি স্টাইলে হামলা ও বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় হোসাইন মুন্সীর আত্বীয় সজন ও সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালানোর সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।
কাইনালীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করলেও আক্তার মোল্লা’র পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ ও আক্তার মোল্লা’র সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হোসাইন মুন্সীসহ তার আত্বীয় সজন ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নারীসহ গ্রাম ছাড়া করে রেখেছে বলে তালা প্রতীক হোসাইন মুন্সীর অভিযোগ ।
ফুটবল প্রতীক প্রাথী আক্তার মোল্লাসহ তার সমর্থকরা মামলার আসামি হলে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় তালা প্রতীক প্রার্থী হোসাইন মুন্সীসহ সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা মাঠে নামতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদ প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেছে জেলা উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। মত বিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, সরকার নিরপেক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু -সুন্দর অবাধ ও নিরপেক্ষ সুন্দর করতে চাই। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু করতে যা যা প্রয়োজন তাই করব। কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিজিবি , র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ৫টি ইউনিয়নেই শতভাগ নিরপেক্ষ ও জবাবদিহি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবেনা। আইনের কাছে কোনো বড় নেতা নাই। নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে জেলের ভাত খেতে হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
No comments:
Post a Comment