বিএনপি জোট সরকারের আমলের লুটপাটকারীরা আবার রাজনীতিতে সক্রিয়। - সদ্য সংবাদ
আজ বঙ্গাব্দ,

শিরোনাম

Tuesday, April 19, 2022

বিএনপি জোট সরকারের আমলের লুটপাটকারীরা আবার রাজনীতিতে সক্রিয়।

 

সদ্য সংবাদ ডেস্কঃ 

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা ছিল এক সময়কার বিএনপির ঘাটি। তাই পরপর তিন বার অধ্যাপক রেজাউল করিম নারায়ণগঞ্জ -৩ তথা সোনারগাঁ উপজেলা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।সেই সুবাদে তৎকালীন সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে সোনারগাঁ উপজেলায় এক লুটপাটের বাহিনী গঠিত হয় তখন।



এ বাহিনীর প্রধান ছিলেন মোশারফ হোসেন। তাহার নেতৃত্বে সোনারগাঁ উপজেলায় চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি জমি দখল সহ নানা প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হতো।

মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু বতর্মানে বিএনপির সুবিধাবাদি একজন নেতার নাম যার বড় ছেলে লিটু জাতীয় পার্টির নেতা। কাজী নজরুল ইসলাম টিটু কাইক্কারটেক হাট থেকে শুরু করে উপজেলার সকল টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি জমি দখল সহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত ছিলেন। সেজন্য তার এলাকায় তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় ছিল,পরপর কয়েকবার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেও বিপুল ভোটে পরাজিত হন। 

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি'র বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বিগত বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন মন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম এর খুব কাছের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বিধায় মোশারফ হোসেন এলাকায় এককভাবে নিজের আধিপত্য বজায় উপজেলার সকল টেন্ডার কমিশনের টাকার বিনিময়ে বন্টন করতেন। এই টেন্ডারবাজির কমিশনের টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মমিনউল্লাহ ডেভিড এর হাতে গুলির শিকার হন মোশারফ হোসেন। বিএনপি জোট সরকারের সময় মোশারফ হোসেন হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেন। এবং স্থানীয় সাবেক ফজল মেম্বারের বাড়িতেও লুটপাট ও ভাঙচুর করেন। 

সেই সময়,ছাফির উদ্দিন মজনু সনমান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতা কর্মীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালাতেন। তৎকালীন সময়ে সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবুর বাবার জানাজায় উপস্থিত হতে দেয়নি ছাফির উদ্দিন মজনু।

এবং দড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম ও ওনার বড় ছেলেকে মারধর করেও ক্ষান্ত হননি পরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় ছাফির উদ্দিন মজনু স্থানীয় মিল কারখানা থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় করত। অধ্যাপক রেজাউল করিমের খুব কাছের লোক হওয়ায় ছাফির উদ্দিন মজনু সোনারগাঁ থানায় ছিল অনেক প্রভাব। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছাফির উদ্দিন মজনু অসংখ্য নিরীহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা দিয়ে নিঃস্ব করেছে। 

ওরা এগারো জনের আরেকজন ছিলেন

শাহজাহান মেম্বার। তিনি ছিলেন বিএনপি জোট সরকারের আমলের সোনারগাঁয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তৎকালীন সময়ে তার নির্দেশে সোনারগাঁ থানার জিডি মামলা মোকাদ্দমা হতো। অনুসন্ধানে জানা যায়,থানা থেকে মৃত ব্যক্তির লাশ বের করতে হলেও শাহজাহান মেম্বারকে টাকা দিতে হতো। তিনি সোনারগাঁয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনারগাঁয়ের অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে মামলা দিয়ে বাড়ি -ঘর ছাড়া করেছেন। 

বিএনপি জোট সরকারের আমলে সফি মেম্বার ছিলেন বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মূর্তিমান আতংকের নাম। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নানাভাবে মামলা-হামলা দিয়ে বাড়িঘর ছাড়া করতেন। সফি মেম্বার নিয়ন্ত্রণ করতেন বৈদ্যের বাজার ঘাট,বালু মহল,টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। 

এসএস/বি



No comments:

Post a Comment