সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা’র ওপর মাদক কারবারিদের হামলার আসামি রিফুজি ইসলাম - সদ্য সংবাদ
আজ বঙ্গাব্দ,

শিরোনাম

Tuesday, July 6, 2021

সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা’র ওপর মাদক কারবারিদের হামলার আসামি রিফুজি ইসলাম



বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: বন্দরের লাঙ্গলবন্দ চিড়ইপাড়া কলোনীর মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে দৈনিক মানবজমিন ও স্থানীয় দৈনিক সচেতন পত্রিকায় লেখালেখি করায় নূরুজ্জামান মোল্লা’র ওপর হামলা  করেছিলো ইসমাইলসহ মাদক কারবারিরা। ওই হামলার ঘটনায়  রিফুজি ইসমাইল হোসেনকে  প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন আহত নূরুজ্জামানের স্ত্রী আইরিন সুলতানা রুমা। ওই সময়ে গ্রেপ্তার এরাতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে ৬ মাস আত্নগোপনে রয়েছে ইসমাইল হোসেন। পরে চিড়ইপাড়া এক মাদক কারবারি তাকে আগাম জামিনে মুক্ত করার পর আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাবে এলাকায় প্রবেশ করে ফের নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে বিবাবদ সৃষ্টি করে নানা মিথ্যা সাজানো অভিযোগ ছড়িয়ে  দেয় বলে স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ।  ইসমাইল হোসেন,  মুছাপুর  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কথিত স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত ইদ্রীস মিয়ার ছেলে। 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নূরুজ্জামান মোল্লা সাংবাদিকতায় শুরু থেকেই চিড়ইপাড়া মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখিতে পুলিশের তৎপরতায়  মাদক কারবারিরা গা-ঢাকা দিয়ে মাদক বেচাকেনা নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এতে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন ইসমাইল।   চিড়ইপাড়া কলোনীতে ইসমাইলসহ ওড়া ৫ জনের একক আদিপত্যে মাদক নিয়ন্ত্রণের অবৈধ অর্থ উপার্জনে বাটা পড়ে ।এর প্রতিহিসংসায় সাংবাদিক নূরুজ্জামানের ওপর  উস্কে দেয় মাদক কারবারিদের। মাদক কারবারিদের  উস্কানীতে দুই দফা হামলার শিকার হন সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাস স্ট্যান্ডে তৎকালিন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল সালাম সহ নূরুজ্জামানের ওপর প্রথম হামলা করে ইসমাইলসহ মাদক কারবারিরা। এর ধারাবাহিকতায় ইসমাইল হোসেন মাদক কারবারিদের সঙ্গে নিয়ে নূরুজ্জামানের ওপ দ্বিতীয় দফা হামলা  করেছিল হালুয়াপাড়া স্কুলের সামনে রাস্তার ওপর। এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেনকে প্রধান আসামি করে সাংবাদিক নূরুজ্জামানের স্ত্রী আইরিন সুলতানা রুমা  বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 
তার পর ইসমাইল হোসেন এই মামলার আসামি হওয়ার পর পুলিশের গ্রেপ্তার এরাতে  দীর্ঘ ছয় মাস এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে পালিয়ে আত্নগোপনে রয়েছে। এই মামলায় এক মাদক কারবারির টাকায় আদালত থেকে জামিনে এসে চিড়ইপাড়া মাদক কারবারিদের সঙ্গে নতুন করে সখ্যতা গড়ে তুলে মাদক কারবারিদের পক্ষে সাংবাদিক নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ইসমাইল ।এর মধ্যে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দলিল লেখক আলাউদ্দিন ভেন্ডার মারা যাওয়ার পর ইসমাইল  হোসেন বনে গেছে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে দলীয় পদপদবীর সীল মোহর তৈরী করে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি  মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানের সীল মোহর নিজেই তৈরী করে স্বাক্ষর জাল করে সাংবাদিক নূরুজ্জামান  মোল্লা’র বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে   নিজেই সই স্বাক্ষর দিয়ে সাজানো মিথ্যা বানোয়াট একটি দরখাস্ত দাখিল করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। মিথ্যা ও বানোয়াট সাজানো দরখাস্তে হয়রানীর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ইসমাইল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দর থানা কম্পাউন্ডে এক মাদক বিরোধে সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন চিড়ইপাড়া কলোনীতে ঘরে ঘরে মাদক। এই মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। পরে চিড়ইপাড়া মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা গ্রহনে উল্টো পুলিশের উধ্বর্তন দপ্তরে  ওই পুলিশ কর্মকর্তা  বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট  দরখাস্ত করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। 

No comments:

Post a Comment